মাথা কামালে কি চুল ঘন হয়?


অনেকেই ভাবেন, চুল কামিয়ে ফেললে তা ঘন বা কালো হয়ে গজায়। এ জন্য মায়েরা ছোট বয়সে প্রায়ই বাচ্চাদের মাথা ন্যাড়া করে দেন। এমনকি বড়দের ক্ষেত্রেও এই প্রবণতা দেখা যায়। হয়তো চুল লালচে দেখাচ্ছে বা চুল স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি পড়ে যাচ্ছে, তখন অনেক প্রাপ্তবয়স্কও চুল ফেলে দেন। কিন্তু চুল ফেলে দিলে আসলেই কি ঘনভাবে গজায়?

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. হুমায়ুন কবীর হিমু বলেন, আসলে চুল কামালে চুল ঘনভাবে গজায় না। মাথা ন্যাড়া করা চুল পড়া বন্ধ করে না বা কালোও করে না। আসলে এটি বংশগত একটি বিষয়।

কুমুদিনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাবেক প্রভাষক ডা. সাবিকুন নাহার বলেন, ‘অনেকে ভাবেন, চুল কামিয়ে ফেললে বা মাথা ন্যাড়া করে ফেললে চুল পড়া কমে যায় বা চুল ঘনভাবে গজায়। এ ধারণা সঠিক নয়। তবে চুল পড়া রোধে মাথায় ব্যবহারের জন্য চিকিৎসক যদি কোনো ওষুধ দেন, সেটি ভালোভাবে লাগানোর জন্য চুল কামানো যেতে পারে। তবে কামাতেই হবে, এমন কোনো বিষয় নেই। তাই চুল ঘন করার উদ্দেশ্যে কামানোর কোনো প্রয়োজন নেই।’


অকালে টাক রুখতে লাল শাক


চিকিৎসকেরা সব সময় সবুজ শাকসবজি খেতে বলেন। লাল শাকেও রয়েছে এমন কিছু প্রয়োজনীয় উপাদান, যা স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৩০ বছর বয়সের পর শরীরে নানা সমস্যা দেখা যায়। সেসব দূরে রাখতে লাল শাক খুবই উপকারী। প্রতিদিন লাল শাক পাতে রাখতে পারেন।

লাল শাকে ভিটামিন সি থাকায় চোখের রেটিনার ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, যা দৃষ্টিশক্তির উন্নতিতে সাহায্য করে। যাঁরা গ্লুকোমার সমস্যায় ভুগছেন, তাঁরা প্রতিদিন লাল শাক খেতে পারেন।

নিয়মিত লাল শাক খেলে কিডনির কার্যক্ষমতা বাড়ে। এ ছাড়া রক্ত পরিশুদ্ধ হয়। লাল শাক শরীরে রক্তের পরিমাণ বাড়ায়। তাই কেউ যদি অ্যানিমিয়ায় ভোগেন, তাহলে খেতে পারেন লাল শাক।

লাল শাকের মূল দিয়ে দাঁত মেজে লবণ-পানি দিয়ে মুখ ধুতে পারেন। এর ফলে দাঁতের মধ্যে থাকা হলুদ ভাব কেটে যায়। এ ছাড়া দাঁতজনিত অন্যান্য সমস্যাও আর হয় না।

লাল শাক ভালো করে বেটে তার মধ্যে এক চামচ লবণ মিশিয়ে নিন। প্রতিদিন এই মিশ্রণ খান। চুল পড়া কমে যাবে অনেকটাই।