মোখা বিদায়ের পরও উত্তাল সমুদ্র, সৈকতে উড়ছে লাল নিশান!


বাংলাদেশ থেকে ইতোমধ্যে নিদায় নিয়েছে ঘূর্ণিঝড় মোখা। নেমে গেছে সংকেত। তবুও উত্তাল সমুদ্র। তাই সোমবার (১৫ মে) সারাদিন কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের প্রতিটি পয়েন্টেই উড়ছে লাল পতাকা। সোমবার বিকেলে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত সরেজমিন পরিদর্শন গিয়ে দেখা যায়, সৈকতে তেমন লোকজন নেই। তবে সর্তকাবস্থায় বীচ-কর্মী, লাইফগার্ড কর্মী ও ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা। সৈকতের লাবনী, সুগন্ধা, কলাতলী পয়েন্টে উড়ছে লাল পাতাকা।

সংবাদমাধ্যমকে সী সেইভ লাইফগার্ডের কর্মী রহিম উল্লাহ বলেন, তেমন পর্যটন নেই। কিছু স্থানীয় লোকজন মোখা-পরবর্তী সমুদ্র সৈকত দেখতে এসেছে। কিন্তু সাগর এখনো উত্তাল। তাই সৈকতে আগত সীমিতসংখ্যক পর্যটক ও স্থানীয়দের গোসলে নিরুৎসাহিত করতেই দিনভর ওই লাল নিশানা ওড়ানো হয়েছে। সমুদ্র স্বাভাবিক হলে পতাকা নামিয়ে ফেলা হবে।

সূত্র জানায়, ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেতসহ নানা ঝুট ঝামেলা গেছে কক্সবাজার সৈকতের ওপর দিয়ে। এ ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সাগর উত্তাল থাকায় বেশ কয়েকদিন সাগরে নামতে পারেনি পর্যটকরা। তারপর ঘূর্ণিঝড়ের আগে থেকে পর্যটকদের জন্য সৈকত নিষিদ্ধ ঘোষণা করে পর্যটনকেন্দ্রিক সেবা বন্ধ করে দেওয়ার পর ঘূর্ণিঝড় দেখতে আসা পর্যটকরাও চলে যায় কক্সবাজার ছেড়ে। ফলে পর্যটকশূন্য ছিল কক্সবাজার সৈকত। ঘূর্ণিঝড় চলে যাওয়ার পর এখন সবকিছু স্বাভাবিক হলেও সাগর এখনো উত্তাল রয়েছে।

কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান বলেন, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরের জন্য কোনো সতর্ক সংকেত নেই। সাগর কিছুটা উত্তাল থাকলেও মঙ্গলবার বৃষ্টি হওয়ার পর এটি আরও স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

কক্সবাজার হোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম শিকদার বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের মাঝেও কিছু সংখ্যক পর্যটক ছিল। তবে এটি পরিমাণে খুবই কম। যারা ঘূর্ণিঝড় দেখার আগ্রহ নিয়ে এখানে এসেছিল।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. শাহীন ইমরান বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সৈকতে পর্যটকদের যাওয়া আমরা সাময়িককভাবে বন্ধ রেখেছিলাম। সতর্ক সংকেত তুলে নেওয়ার ফলে সোমবার থেকে সেটি প্রত্যাহার করা হয়েছে।