জন্মনিয়ন্ত্রণ-পদ্ধতি সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে রাখা ভালো। প্রচলিত জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে সেবন করতে হয়। অস্থায়ী দীর্ঘমেয়াদি পদ্ধতিগুলোর মধ্যে রয়েছে ইমপ্ল্যান্ট, ডিএমপিএ এবং আইইউডি।
ইমপ্ল্যান্টে রয়েছে প্রোজেস্টেরন নামের হরমোন, যা হাতের চামড়ার নিচে লাগিয়ে দেওয়া হয়। এটির কার্যকারিতা থাকে পাঁচ বছর। এ ছাড়া আছে ‘ইমপ্ল্যানন’, যা ছোট ক্যাপসুলের মতো দেখতে। এটি হাতে লাগিয়ে নেওয়ার পর থেকে তিন বছর কার্যকর থাকে। গর্ভধারণ করতে চাইলে ইমপ্ল্যানন অপসারণ করা যায় এবং অপসারণের পরপরই গর্ভধারণের ক্ষমতা ফিরে আসে।
ডিএমপিএ ইনজেকশনেও রয়েছে প্রোজেস্টেরন হরমোন, যা মাংসপেশির গভীরে দেওয়া হয়। এটি তিন মাস কার্যকর। ব্যবহারের শর্ত হলো, এটি গ্রহণের আগে অন্তত একটি সন্তান থাকতে হবে।
আইইউডি নামের পদ্ধতিটি প্রয়োগের সঙ্গে সঙ্গেই কার্যকর হয় এবং এর কার্যকারিতা থাকে ১০ বছর। প্রচলিত আইইউডিতে কোনো হরমোন নেই। তাই এটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াবিহীন। ১০ বছরের আগে গর্ভধারণ করতে চাইলে এটিও অপসারণ করা যায় এবং গর্ভধারণের ক্ষমতা ফিরে আসে।
* যাঁরা বিভিন্ন কারণে ইস্ট্রোজেন হরমোনসমৃদ্ধ প্রচলিত জন্মনিরোধক বড়ি গ্রহণ করতে পারেন না, তাঁরা সহজেই এ তিনটি পদ্ধতির যেকোনোটি গ্রহণ করতে পারেন। এসব পদ্ধতি নিলে শরীরের ওজন বাড়ার আশঙ্কা খুবই কম।
* সন্তান জন্মের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আইইউডি গ্রহণ করা যায়। ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলে অবশ্য ছয় সপ্তাহ পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। প্রসব-পরবর্তী মা, যাঁরা সন্তানকে বুকের দুধ পান করাচ্ছেন, তাঁরা সন্তানের বয়স ছয় সপ্তাহ পার হলে এ তিনটি পদ্ধতির যেকোনোটি গ্রহণ করতে পারেন।
প্রয়োগের সময়কাল: * মাসিকের ১ থেকে ৫ দিনের মধ্যে।
* কেউ যদি আগে থেকে জন্মনিরোধক বড়ি সেবন করেন, সে ক্ষেত্রে সাদা বড়ি শেষ হওয়ার পরদিন সবচেয়ে উপযুক্ত সময়। গর্ভে সন্তান নেই, তা নিশ্চিত হতে হবে।