কিডনি সমস্যায় ৪ বিভ্রান্তি!


ষাটোর্ধ্ব বয়স, উচ্চ র’ক্তচাপ ও ডায়াবেটিস—এই তিনটি হলো কিডনি অকার্যকারিতার সবচেয়ে বড় ঝুঁকি। তবে কিডনি নিয়ে আছে অনেক ভুল ধারণাও।

কোমরের পেছনে ব্যথা?: বেশির ভাগ কিডনি সমস্যায় শুরুতে কোনো উপসর্গই থাকে না। কিডনিতে সংক্রমণ বা পাথর না হলে এতে ব্যথা করার কথা নয়। বরং কিডনির সমস্যা সঠিক সময়ে নির্ণয় করার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের নিয়মিত অন্তত দুটি পরীক্ষা করা উচিত, প্রস্রাবে অ্যালবুমিন বা আমিষ পরীক্ষা এবং র’ক্তে জিএফআর বা সিসিআর দেখা।

ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবারে কিডনিতে পাথর?: কিডনির পাথরগুলো সাধারণত ক্যালসিয়াম দিয়ে তৈরি। তার মানে এই নয় যে খাবারের মধ্যে ক্যালসিয়াম থাকলে তা জমে গিয়ে পাথর সৃষ্টি করে। খাবারের ক্যালসিয়াম (যেমন দুধ, দই) বরং কিডনিকে ভালো রাখতে সাহায্য করে। তবে বিনা প্রয়োজনে অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম ওষুধ বা সাপ্লিমেন্ট খাওয়া ভালো নয়।

বেশি পানি খেলে কিডনি ভালো থাকে?: কিডনি ভালো রাখতে হলে প্রচুর পানি পান করতে হবে—এ ধারণারও কোনো ভিত্তি নেই। কতটুকু পানি পান করতে হবে তা ব্যক্তির ওজন, কাজের ধরন, আবহাওয়া—অনেক কিছুর ওপরই নির্ভর করে। আর আমাদের মস্তিষ্কের পিপাসা নিয়ন্ত্রক কেন্দ্র সেটা ভালোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম।

আমিষ খাওয়া বন্ধ?: কিডনি ভালো রাখতে হলে আমিষ বেশি খাওয়া যাবে না, এটাও ঠিক নয়। একজন পূর্ণবয়স্ক পুরুষের দৈনিক প্রায় ৫৬ গ্রাম ও নারীর প্রায় ৪৬ গ্রাম আমিষ দরকার। দৈনিক খাদ্যতালিকার ৩০ শতাংশের মতো থাকবে আমিষ। এতে কিডনির ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা নেই। তবে কিডনি অকার্যকারিতার রোগীদের আমিষ একটু কম খেতে বলা হয়।