কীভাবে বুঝবেন সঙ্গী নির্বাচন ঠিক হয়নি!

সঠিক জীবনসঙ্গীর সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার চেয়ে বড় আশীর্বাদ আর কিছু হতে পারে না। শুনতে সহজ মনে হলেও বাস্তবে সেটা বেশ জটিল। এমনিতেই বিয়েতে দুই পরিবারের বোঝাপড়ার ব্যাপার থাকে। কিন্তু তার চেয়েও বড় বাধা সঠিক জীবনসঙ্গীকে খুঁজে পাওয়া। আপনার প্রেমিক বা প্রেমিকা তা না–ও হতে পারেন। সে ক্ষেত্রে বিয়ের পরে হবে উল্টো ফল। এই কারণেই বিয়েতে অনেকেই সুখী হয় না। কীভাবে বুঝবেন আপনার সঙ্গী নির্বাচন ভুল হয়েছে।

যদি সুখ না মেলে
মানুষ যেকোনো সম্পর্কই তৈরি করে ভালো থাকার জন্য। প্রেমের সম্পর্কের ক্ষেত্রে তা আরও সত্যি। এতে দুজনেই সুখী হওয়ার কথা। কিন্তু যদি তা উল্টো হয়, দুজনেরই সুখ কেড়ে নেয়, তবে নতুন করে ভাবা উচিত। দুজনে বসে নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলাপ করুন।

প্রতিনিয়ত ঝগড়া হলে
সম্পর্কে টুকটাক মনোমালিন্য হবেই। মাঝেমধ্যে ঝগড়া হওয়াও অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু তা যদি নিত্যই লেগে থাকে, সারা দিনই যদি মুখ ভার করে বসে থাকতে হয়, তবে বুঝতে হবে আপনারা সঠিক মানুষের সঙ্গে নেই।

জীবনের লক্ষ্যের ভিন্নতা
সবার জীবনেই নিজস্ব কিছু লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য থাকে। সম্পর্কের কারণে সবাইকে সে বাবদে কমবেশি ত্যাগ স্বীকার করতে হয়। কিন্তু দুজনের লক্ষ্য একদম বিপরীতমুখী হলে কোনো একজনকে তা পুরোপুরি ছেড়ে দিতে হবে। সেটা ভবিষ্যতের যৌথ জীবনের জন্য খুব একটা সুখকর হবে না।

ফাঁদে পড়িয়া কাঁদিলে
সম্পর্কে চড়াই-উতরাই থাকবেই। খারাপ সময়ে নিজেকে অসহায় মনে হতেই পারে। কিন্তু যদি নিয়মিত তেমন অনুভূতি হতে থাকে, মনে হয় আপনি ফাঁদে আটকা পড়েছেন, মানসিক বা শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, তাহলে সে সম্পর্ক নিয়ে নতুন করে ভাবা দরকার। বন্ধু ও স্বজনদের সাহায্য নিন। প্রয়োজনে সহায়তাকারী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

বিপরীত বিশ্বভাবনা
জগৎ–সংসার নিয়ে আপনাদের ভাবনা এক হতে হবে, এমন কোনো কথা নেই। কিন্তু ভিন্নতা যদি এমন হয় যে কোনো কিছুতেই একমত হতে পারেন না, সেটা আখেরে আপনাদের একসঙ্গে পথচলায় প্রতিবন্ধকতাই তৈরি করবে।

ব্যক্তিত্বের সংঘাত
বলা হয়ে থাকে, বিপরীত ব্যক্তিত্বের মানুষ পরস্পরকে আকৃষ্ট করে। কিন্তু সেটা যেন চূড়ান্ত পর্যায়ের না হয়। যদি একজন প্রচণ্ড বহির্মুখী ও তার সঙ্গী একই রকম অন্তর্মুখী হয়, তাদের একসঙ্গে থাকাই দায় হয়ে যাবে।

গুরুত্ব পাচ্ছেন তো
সম্পর্কের যেকোনো বিষয়ে দুজনের মতামতেরই গুরুত্ব থাকা উচিত। আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। সঙ্গী যদি আপনার মতামতের তোয়াক্কা না করে, তাহলে আপনিও তার ব্যাপারে নতুন করে ভাবুন।

খারাপের লালন হলে
ভালো সম্পর্ক দুজনের সেরাটা বের করে আনার কথা। তাতে ব্যক্তিগতভাবেও দুজনেরই উপকৃত হওয়ার কথা। কিন্তু যদি তার উল্টোটা হয়, দুজনের খারাপ দিকগুলোই বাড়তে থাকে, তাহলে সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনায় বসুন।

শখের নৈকট্য
আপনাদের দুজনের একই শখ থাকবে, এমনটা আশা করা বাড়াবাড়ি। তবে অন্তত দু-একটা মেলা উচিত। সেগুলো একসঙ্গে করার মাধ্যমে সত্যিকারের যুগল সময় কাটানো সম্ভব। কিন্তু তেমন একটাও যদি না থাকে, তাহলে সম্ভবত আপনারা পরস্পরের জন্য নন।