প্রবল শক্তিতে উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’!


ভারতের ভুবনেশ্বরের আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের ইঙ্গিত, বাংলা এবং ওড়িশার দিকে ধেয়ে আসতে পারে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় মোখা। যদিও এখনও নিশ্চিত ভাবে কিছুই বলা যাচ্ছে না এই ‘সিস্টেম’ নিয়ে। তবে ‘মডেল’ অনুযায়ী, আগামী সপ্তাহে এই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে পারে ভারতীয় উপকূলে।

আবহাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ৬ মে দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগরের উপর একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে চলেছে। ৭ মে সেই সিস্টেমটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। এরপর আগামী ৮ মে সেটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। তারপর সেটি আরও শক্তি বাড়িয়ে উত্তর দিকে এগিয়ে যেতে পারে।

অবশ্য ঘূর্ণিঝড়ের শক্তি ও দিকনির্দেশনার বিষয়ে নিশ্চিত ভাবে জানানো যাবে নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার পরই। তবে রিজিওনাল স্পেশালাইজড মেটেরোলজিকাল সেন্টারের মডেল অনুযায়ী, আগামী ৯ মে আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের কাছে গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। এরপর সেটি উত্তর ও উত্তর-পূর্বে এগিয়ে যেতে পারে। পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরের কাছে পৌঁছতে পারে এই ঘূর্ণিঝড়।

এদিকে আগামী সপ্তাহে ভারতের পূর্ব উপকূলের আবহাওয়া পরিবর্তন হবে। ঝোড়ো হাওয়া বইবে এই অঞ্চলে। হাওয়ার বেগ ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিমি পর্যন্ত পৌঁছে যেতে পারে। এরপর ধীরে ধীরে এই সিস্টেম যত শক্তি সঞ্চয় করবে, উপকূলে হাওয়ার বেগ বেড়ে ৭০ কিমি প্রতি ঘণ্টায় পৌঁছে যাবে। এই আবহে মৎসজীবী এবং ছোট নৌকা বা জাহাজকে সমুদ্র যাওয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।

এই ঘূর্ণাবর্ত যদি সত্যি সত্যি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়, তবে সেটির নাম রাখা হবে মোখা। ইয়েমেন এই নামকরণ করেছে তাদের একটি শহরের নামে। উল্লেখ্য, এই বন্দর শহরের কাছেই বিখ্যাত ‘মোকা’ কফির চাষ হয়।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোখার মোকাবিলা করতে আগেভাগেই তৎপর হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সম্ভাব্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের মোকাবিলা করতে ইতিমধ্যেই বৈঠক হয়েছে নবান্নে। গত পরশু এই নিয়ে একটি জরুরি বৈঠকে বসেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। আগে থেকেই যাতে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়, সেই নির্দেশ দেওয়া হয় বৈঠকে। সূত্র – হিন্দুস্থান টাইমস