তীব্র তাপদাহে পুড়ছে দেশ। সোমবার ( ১৭ এপ্রিল ) ঈশ্বরদীতে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এদিন ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।






যদিও আবহাওয়া অফিস হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস দিচ্ছে, তবে তাতে নেই স্বস্তির সুখবর। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, চলমান তাপপ্রবাহ থাকবে আরও দুয়েক দিন। বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা কিছু কমলেও বাড়বে বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ।
সারাদেশে এপ্রিলের শুরু থেকে টানা দুই সপ্তাহ ধরে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। খুলনা বিভাগসহ ঢাকা, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, রাজশাহী ও পাবনা জেলায় এই তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে তীব্র মাত্রায়। দেশের অন্যত্র বিরাজ করছে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ।
আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম গণমাধ্যমে বলেন, বিরাজমান তাপপ্রবাহ আরও দুয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে। ঈদের আগে ও পরে ২০ থেকে ২৪ এপ্রিলের দিকে বাড়তে পারে বৃষ্টির প্রবণতা।






তিনি জানান, আগামী ২৪ ঘণ্টায় আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা এবং সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টির আভাস রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. আবুল কালাম মল্লিক বলেন, এপ্রিলের শুরু থেকে তাপপ্রবাহের মধ্যে তাপমাত্রা বেশি হলেও ঘাম খুব বেশি হয়নি, ফলে গরম ততটা অস্বস্তিকর অনভূতি দেয়নি। ১৪ এপ্রিল পযন্ত ঢাকাসহ সর্বত্র দেশের আকাশ ছিল মেঘমুক্ত। এর পাশাপাশি দক্ষিণ, দক্ষিণ পশ্চিম দিকের বাতাস বেশি সক্রিয় ছিল না; জলীয় বাষ্পের পরিমাণ তুলনামূলক কম ছিল (৪০% এ নিচে)। এ অবস্থায় পারদে তাপমাত্রা উপরে উঠলেও খুব বেশি ঘাম হয়নি।






তিনি বলেন, আগামী সপ্তাহে সারাদেশে বিচ্ছিন্নভাবে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকায় ৩৬ থেকে ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রার পাশাপাশি জলীয়বাষ্প অস্বস্তির অনুভূতি বাড়িয়ে দেবে। ১৪ এপ্রিলের পরে বাংলাদেশে পূবালী লঘুচাপের বর্ধিতাংশ বিস্তৃত হওয়ায় মেঘমালা আসতে শুরু করে। ক্রমান্বয়ে তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ১৯ এপ্রিল থেকে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বাড়ার কারণে তাপমাত্রা কমলেও অস্বস্তি বোধ বাড়বে।
এদিকে আবহাওয়া অফিস বলছে, সিলেট, চট্টগ্রামসহ দেশের পূর্বাংশে হালকা বৃষ্টির আভাস রয়েছে। মাসের শেষে বাড়তে পারে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা। তবে ভারি বর্ষণ হবে কিনা সেরকম কোনো আভাস আপাতত নেই।






আবহাওয়াবিদ এস এম কামরুল হাসান জানান, এক সপ্তাহের মধ্যে তীব্র তাপপ্রবাহ কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাপমাত্রা কমে এলেও মৃদু থেকে মাঝারি আকারে চলতে পারে তাপদাহ। জলীয়বাষ্পের কারণে সামনের এক সপ্তাহ অস্বস্তি বাড়বে।