বরগুনার আলোচিত আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির ঘটনা সবার জানা। স্বামী রিফাত শরীফকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ড মাথায় নিয়ে বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন তিনি। সেই রিফাত-মিন্নিরই আরেক ঘটনার দেখা মিললো যশোরে।






প্রবাসী স্বামী সোহেল রানা দেশে আসার পর তার সামনে পুরোনো প্রেমিক ফারাবির সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়ে মিম। এ সময় প্রেমিক ফারাবি সোহেলকে হত্যার হুমকি দেয়। একদিন মিমকে নিয়ে শ্বশুর বাড়ি যাওয়ার পথে মিমের ইন্ধনেই ফারাবি ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা তার স্বামীকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যু হয় সোহেলের।






নিহত সোহেল দেয়াড়া ইউনিয়নের হালসা গ্রামের আব্দুর রউফ বিশ্বাসের ছেলে। তিনি ৫ বছর দুবাইয়ে ছিলেন। দুই মাস আগে তিনি দেশে ফেরেন। স্বজনদের ধারণা, স্ত্রীর পরকীয়া নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে।
নিহতের ছোট ভাই শাকিল আহমেদ বলেন, পাঁচ বছর আগে সদরের আলমনগর গ্রামের আলিম হোসেনের মেয়ে খুশিকে বিয়ে করেন সোহেল রানা। তাঁদের ঘরে দেড় বছর বয়সী এক ছেলে সন্তানও রয়েছে। সোহেল স্ত্রীকে রেখে দীর্ঘদিন দুবাইয়ে ছিলেন। দুই মাস আগে বাড়িতে ফেরেন। সোহেল বিদেশে থাকার সময়ে পরকীয়ায় জড়ান খুশি। আলমনগর গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে ফারাবীর সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। স্বামী সোহেল দেশে আসার পর তাঁকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে ফেলার ষড়যন্ত্র করেন খুশি ও তাঁর প্রেমিক ফারাবী।






সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বিকেলে সোহেলকে তাঁর বাবার বাড়িতে ডেকে নেন খুশি। মোটরসাইকেলযোগে শ্বশুর বাড়িতে যাওয়ার সময় কামারবাড়ি নামক স্থানে পৌঁছালে প্রেমিক ফারাবী তাঁকে গতিরোধ করে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী তাঁকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে খুশি বলেন, ফারাবীর সঙ্গে তাঁর কোনো প্রেমের সম্পর্ক নেই। স্বামীর হত্যাকারী ফারাবীকে আটক করে ফাঁসির দাবি জানান তিনি।






যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক শফিকুল আলম বলেন, পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। তদন্ত করেই জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে। ফারাবী পলাতক রয়েছে।