নামাজ থেকে এসে ইজিবাইক না পেয়ে কাঁদছেন রেজাউল

ইজিবাইক রেখে নামাজে গিয়েছিলেন রেজাউল হক (৪৫)। এই ইজিবাইকের উপার্জন দিয়েই নিজের পরিবার ও বৃদ্ধ বাবা-মায়ের ভরণপোষণ করতেন তিনি। এখন সেই শেষ সম্বল ইজিবাইকটি হারিয়ে এখন কাঁদছেন তিনি।

জানা গেছে, রেজাউল হক চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শংকরচন্দ্র ইউনিয়নের গাড়াবাড়ীয়া গ্রামের পুরাতন গোরস্থান পাড়ার ওমর আলীর ছেলে। শনিবার জোহরের নামাজ আদায় করতে শহরের ঝিনাইদহ বাসস্ট্যান্ড এলাকার একটি মসজিদের সামনে আমার ইজিবাইকটি তালা দিয়ে রাখেন তিনি। নামাজ আদায় করে মিনিট দশেক পর এসে দেখেন ইজিবাইকটি নেই। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও পাওয়া যায়নি।

রেজাউল বলেন, আমার নিজস্ব কোনো জমি নেই। থাকার জন্য শুধু বাড়িটাই আছে। বছর দুয়েক আগে পুরোনো ইজিবাইকটি কিনেছিলাম। এটার উপার্জন দিয়ে বৃদ্ধ বাবা-মা স্ত্রী ও তিন সন্তানের খরচ চালাই। এখন আমি কী করবো বলেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।

রেজাউল হকের বড় মেয়ে রুকাইয়া ইসলাম মাদরাসা ছাত্রী, মেজ ছেলে ইয়াসিনের বয়স ১০ বছর ও ছোট মেয়ে রুহানীর বয়স মাত্র সাড়ে তিন বছর।

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহব্বুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী রেজাউল হক একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। আমরা সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে অভিযুক্তদের শনাক্তের চেষ্টা করছি। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।