শিশু-কিশোরছাড়াও যুবক, বৃদ্ধসহ নানান বয়সের মানুষকে নামাজের প্রতি উৎসাহিত করার উদ্দেশ্যে পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছিলেন মাদারীপুরের এক ব্যবসায়ী মাহমুদুল হাসান।






সেই ঘোষণা অনুযায়ী টানা ৪০ দিন জামাতে নামাজ আদায় করে পুরস্কার জিতে নিয়েছেন একটি মসজিদের ইমামসহ ২৫ জন কিশোর, যুবক ও বৃদ্ধ।
শুক্রবার (৭ এপ্রিল) সুপার শপের স্বত্বাধিকারী মাহমুদুল হাসানের উদ্যোগে মাদারীপুর সদর উপজেলা ঝাউদি ইউনিয়নের ব্রাহ্মন্দী এলাকার বাইতুন নূর জামে মসজিদে শুক্রবার (৭ এপ্রিল) জুমার নামাজ শেষে এ আয়োজন করা হয়।






স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ব্যবসায়ী মাহমুদুল হাসান ঘোষণা দিয়েছিলেন, সব বয়সের মানুষ যদি একটানা ৪০ দিন ৫ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করেন, তাহলে তাদেরকে একটি করে কাচের ডিনার সেট ও কাচের প্লেট পুরস্কার দেওয়া হবে। যারা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ৪০ দিন জামাতের সঙ্গে আদায় করবেন তাদের জন্য ছিল কাচের ডিনার সেট এবং যারা এর কম ওয়াক্ত নামাজ পড়বেন তাদের কাচের প্লেট দেওয়া হবে।
আর এতেই উৎসাহিত হয়ে এলাকার অনেকই নিয়মিত নামাজ আদায় শুরু করেন। টানা ৪০ দিন পর শুক্রবার নিয়মিত জামাতে নামাজ আদায় করেছেন এমন ২৫ জনের হাতে সেই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। এতে প্রথম পুরস্কার পান বাইতুন নূর জামে মসজিদের ইমাম সাহেব আবুল বাশার।






এ সময় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন মসজিদের সভাপতি সোহরাব হাওলাদার। এসময় বিজয়ী সোহরাব হাওলাদার (৮০), আনোয়ার হোসেন হাওলাদার (৫২), ওহাব হাওলাদার (৮৫), আব্দুর রহমান (১৪), তকি (১২), সিয়াম (১৭), লিয়াম (১৫), জুনায়েদ (১৫), মতিউর রহমানসহ (২২) আরও অনেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন।
ইতোমধ্যে শিশু-কিশোর ও নানান বয়সীদের মসজিদমুখী করার লক্ষ্যে আয়োজিত এমন উদ্যোগ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। ব্যবসায়ী মাহমুদুল হাসানের এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন অনেকে।মাহমুদুল হাসান বলেন, ঘোষণার পর থেকে প্রায় শতাধিক নানান বয়সের লোকজন মসজিদে নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় শুরু করেন।






তারা ঠিকমতো নামাজ আদায় করছেন কিনা তা হিসার রাখার জন্য প্রতি ওয়াক্ত নামাজের পর তাদের নাম ডাকা হত। যদি কেউ কোনো ওয়াক্তে অনুপস্থিত থাকতেন তখন তার গণনায় লাল চিহ্ন ব্যবহার করা হত। এভাবে নিয়মিত যাচাই-বাছাই ও হাজিরার ভিত্তিতে সর্বশেষ বাইতুন নূর জামে মসজিদের ইমামসহ ২৫ জন বিজয়ী হন।
বাইতুন নূর জামে মসজিদের ইমাম সাহেব আবুল বাশার জানান, মাহমুদুল হাসানের এই উদ্যোগটিকে আমরা সাধুবাদ জানাই। এভাবে এলাকার অনেক যুবকরা নামাজের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছে। এতে করে নানান বয়সের লোক মসজিদমুখী হয়েছে।






এভাবে যদি প্রত্যেকে এমন মহৎ কাজ করে তাহলে সবার আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি হবে। যুব সমাজ মাদক এবং সব ধরনের খারাপ কাজ থেকে নিজেদের বিরত রাখতে পারবে।