রাজধানীর বঙ্গবাজার মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে হাজারও মানুষ। আগুনে পুড়ে গেছে প্রায় কোটি কোটি টাকার পোশাক। ক্ষতিগ্রস্থ দোকানিদের পাশে এগিয়ে আসছেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। যে যার সাধ্যমতো কিছু করার চেষ্টা করছেন তাদের জন্য।






তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান জানিয়েছিলেন, বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্থদের ইফতারের জন্য ২০ টাকা অনুদান দিচ্ছেন তিনি।
সাকিব নিজের ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘এই অগ্নিকাণ্ডে সবাই তাদের ব্যবসা ও আয়ের মাধ্যম হারিয়েছে। রমজান মাসে এটি এখন খুব কঠিন সময় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমার ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে আগামীকালের ক্ষতিগ্রস্তদের ইফতারের জন্য ২০,০০০ টাকা অনুদান প্রদান করব। এই ইফতারের আয়োজনটি সমন্বয় করবে মাস্তুল ফাউন্ডেশন।’






সাকিবের এই ঘোষণা ক্ষিপ্ত হয়েছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। তারা বলছেন, ‘আজকে তো আমরা রাস্তার ফকির হয়ে গেছি। গত পরশুদিন ২০ হাজার টাকা আমাদের কাছে হাতের ময়লা ছিল। সাকিবের টাকার মধ্যে থু মারি, থু।’
ব্যাবসায়ীরা বলেন,‘বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ইফতারির জন্য বিশ হাজার টাকা দিবে, ৫ পয়সা কইরাও তো কেউ পাইবো না। আপনাদের মাধ্যমে বলতে চাই, অর যদি লাগে আমরা বিশ হাজার টাকা আরো দিমু, অয় চল্লিশ হাজার টাকা দিয়া ইফতার করুক।’






তারা বলেন, ‘এটা তো আমাদেরকে ক্রিটিসাইজ করা হইছে। এতো বড় মার্কেটে যেখানে ৬ হাজার দোকান সেখানে দুইজন করি লোক ধরলেও ১২ হাজার লোক। এমন দোকান আছে ৫-৭ জন। সাকিব খান আমাদের লজ্জা দিতে আসছে। অর টাকার মধ্যে থু মারি থু। অয় আমাদের ভ্যাট ট্যাক্সের টাকায় চলে, বেতন নেয়। ওর বাবার কাছ থেকে বেতন নেয় না। সে বিমানে চলে, বাড়ি গাড়ি করছে, সে অর বাপের টাকা দিয়ে করে নাই।’
নিজেদের বর্তমান অবস্থা জানিয়ে ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘আজকে তো আমরা রাস্তার ফকির হয়ে গেছি। গত পরশুদিন ২০ হাজার টাকা আমাদের কাছে হাতের ময়লা ছিল। এক সময় আমরা মানুষকে কাপড় দিতাম, কিন্তু এখন মানুষের কাছে চাওয়ার মতো পরিস্থিতি হয়ে গেছে।’






তবে সকল দেশবাসীকে এগিয়ে আসার অনুরোধ করেন সাকিব। বলেন, ‘এই মর্মান্তিক ভয়ানক পরিস্থিতিতে আমরা আমাদের ক্ষতিগ্রস্ত সকল ভাই ও বোনদের সাহায্য করার জন্য নিজ উদ্যোগে এগিয়ে আসতে পারি। আসুন এখন একে অপরের পাশে দাঁড়াই। এই রমজান মাসে মহান আল্লাহ তায়ালা তাঁর রহমত ও বরকতে আমাদের এই ক্ষতি পূরণ করার তৌফিক দান করুন।’