সাদা বলের ক্রিকেটে ভারতের জন্য ১০ উইকেটের পরাজয় কি নিয়তি হয়ে গেছে? না হলে গত তিন বছরে চারবার ১০ উইকেটে হারের লজ্জা পেতে হবে কেন? আজ রবিবার ঘরের মাঠে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ১০ উইকেটে হেরেছে ভারত! সেটাও আবার ৩৯ ওভার হাতে রেখে। এ নিয়ে গত তিন বছর দুটি করে ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টিতে ১০ উইকেটে হারল ভারত।






২০২০ সালের ১৪ জানুয়ারি মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ভারতকে ১০ উইকেটে হারিয়েছিল এই অস্ট্রেলিয়াই! সেই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ২৫৫ রানে অল আউট হয়ে গিয়েছিল ভারত। শিখর ধাওয়ান ৭৪ ও লোকেশ রাহুল ৪৭ রান করলেও বাকিরা রান পাননি। জবাবে অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও অ্যারন ফিঞ্চ জোড়া সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান। ওয়ার্নার ১২৮ ও ফিঞ্চ ১১০ রানে অপরাজিত থাকেন।






পরের বছর এই ছবি দেখা যায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। দুবাইয়ে পাকিস্তানের সামনে আত্মসমর্পণ করে ভারতীয় টপ অর্ডার। পাকিস্তানি বোলারদের দাপটে ভারত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৫১ রান তুলেছিল। একমাত্র বিরাট কোহলি ৫৭ রান করেন। জবাবে দুই ওপেনার বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের ব্যাটেই জিতে যায় পাকিস্তান। বাবর ৬৮ ও রিজওয়ান ৭৯ রানে অপরাজিত থাকেন। সেই পরাজয় নিয়ে রোহিতদের অনেক সমালোচনা শুনতে হয়েছিল।






এরপর আসে ২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সেই আসরে ইংল্যান্ডের কাছে ১০ উইকেটে হারতে হয় ভারতকে। বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে প্রথমে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১৬৮ রান করে ভারত। হার্দিক পান্ডিয়া ৬৩ এবং বিরাট কোহলি ৫০ রান করেন। জবাবে কোনো উইকেট না হারিয়েই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ইংল্যান্ড। অ্যালেক্স হেলস ৮৬ ও জস বাটলার ৮০ রানে অপরাজিত থাকেন। সেমিফাইনাল থেকে ছিটকে যাওয়ায় ভারতের বিশ্বকাপ জয়ের আশাও শেষ হয়ে যায়।






আজ বিশাখাপত্তনমে দ্বিপক্ষীয় সিরিজে আবারও ১০ উইকেটে হারল ভারত। অজি পেসারদের দাপটে বিরাট কোহলিরা ২৬ ওভারে মাত্র ১১৭ রানে প্যাকেট হয়ে যান। মিচেল স্টার্ক নেন ৫ উইকেট। সর্বোচ্চ ৩১ রান করেন কোহলি। জবাবে ১১ ওভারেই ম্যাচ জিতে নেয় অস্ট্রেলিয়া। মিচেল মার্শ ৬৬ ও ট্রাভিস হেড ৫১ রান করে অপরাজিত থাকেন। এই ম্যাচে বলের হিসাবেও সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হারতে হয়েছে ভারতকে। ২৩৪ বল বাকি থাকতে ম্যাচ হারেন রোহিতরা। এর আগের রেকর্ডটি ছিল ২১২ বলের, প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড।