দেশের আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম মনে করেন খুনের মামলার পলাতক আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানকে গ্রেপ্তার করতে না পারা পুলিশের ব্যর্থতা। তিনি বলছেন, ‘খুনের মামলায় অভিযুক্ত একজন আসামিকে এত দিন খুঁজে না পাওয়া বা গ্রেপ্তার করতে না পারার ব্যর্থতা পুলিশের। আমরা তাঁকে খুঁজে বের করতে পুলিশকে সহযোগিতা করেছি। আমরা ফেসবুকে পোস্ট না দিলে, দুবাই না গেলে আরাভ খানের আসল পরিচয় কেউ জানত না।’






তদন্তের প্রয়োজনে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও হিরো আলমকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে, গোয়েন্দা পুলিশের এমন বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে শনিবার (১৮ মার্চ) একটি সংবাদমাধ্যমকে হিরো আলম জানান, ‘আইনের প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল। যেকোনো মামলা তদন্তের প্রয়োজনে অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বা সন্দেহভাজন কোনো ব্যক্তিকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করতেই পারে। কিন্তু পুলিশ খুনের সঙ্গে সাকিব আল হাসানের মতো জনপ্রিয় ক্রিকেটার ও আমার সংশ্লিষ্টতা কোথায়, সেটা আগে পুলিশকে বলতে হবে।’






আরাভ খান পুলিশ কর্মকর্তা খুনের মামলার আসামি এই তথ্য আগে থেকে জানতেন না দাবি করে হিরো আলম বলেন, ‘তাঁর (আরাভ খান) সঙ্গে পরিচয় ফেসবুকে। একজন বাংলাদেশি উদ্যোক্তা হিসেবে তিনি দাওয়াত করেছেন। আমরা প্রবাসী উদ্যোক্তাদের উৎসাহ দিতে তারকারা সেখানে গিয়েছি। আরাভ খানের জায়গায় দুবাই থেকে যেকোনো বাংলাদেশি ব্যবসায়ী দোকান উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানালেও সেখানে যেতাম।’






আরাভ খান নামে দুবাইয়ের এই স্বর্ণ ব্যবসায়ী মূলত বাংলাদেশে পুলিশ পরিদর্শক হত্যা মামলার আসামি রবিউল ইসলাম। তাঁকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের সহায়তা চেয়েছে পুলিশ আরাভ খান নামে দুবাইয়ের এই স্বর্ণ ব্যবসায়ী মূলত বাংলাদেশে পুলিশ পরিদর্শক হত্যা মামলার আসামি রবিউল ইসলাম। তাঁকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের সহায়তা চেয়েছে পুলিশ।






হিরো আলম মন্তব্য করেন, ‘রবিউল ইসলাম সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে এসে স্বর্ণের দোকান খুলে ব্যবসা করছেন। এটা এত দিন অজানা ছিল। অজানাই হয়তো থাকত। কিন্তু সাকিব আল হাসান ও হিরো আলম তাঁর স্বর্ণের দোকান উদ্বোধন করতে এসেছেন বলেই আরাভ খান সামনে চলে এসেছেন। আমাদের কারণেই তাঁর আসল পরিচয় উন্মোচিত হয়েছে। পলাতক আসামির সন্ধান পেতে সহযোগিতা করায় সাকিব আল হাসান ও হিরো আলমকে পুলিশের পক্ষ থেকে পুরস্কৃত করা উচিত। উল্টো পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের নামে আমাদের হয়রানি করার ফন্দি করছে।’






তারাকাদের সঙ্গে গিয়েছেন হিরো আলমও। প্রথমবারের মতো দুবাইয়ে গিয়ে বুর্জ খলিফার সামনে ছবি তোলেন এই তারকা ডিবি বলছে, পুলিশ কর্মকর্তা মামুন এমরান খান হত্যা মামলার আসামি রবিউল ইসলাম দেশ থেকে পালিয়ে প্রথমে ভারত যান। সেখানে আরাভ খান নামে পাসপোর্ট সংগ্রহ করে দুবাই চলে যান। এখন তিনি দুবাইয়ের বড় স্বর্ণ ব্যবসায়ী। রবিউলকে ইন্টারপোলের সহায়তায় দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে জানিয়ে ডিবির প্রধান হারুন অর রশীদ বলেন, রবিউলের নামে ১২টি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকার তথ্য পাওয়া গেছে।