ঢাকার রেস্তোরাঁ ব্র্যান্ড সুলতান’স ডাইনের কাচ্চি বিরিয়ানিতে খাসির মাংসের বদলে অন্য প্রাণীর মাংস দেওয়ার অভিযোগের প্রমাণ পায়নি সরকারি সংস্থা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।






রেস্তোরাঁটির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সরকারি পরিচালক মো. আবদুল জব্বার মণ্ডল।






আজ সোমবার তিনি তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, কাচ্চি বিরিয়ানিতে খাসি বাদে অন্য প্রাণীর মাংসের ব্যবহার সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় প্রতিষ্ঠান সুলতান’স ডাইনকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া যেতে পারে।






গত সপ্তাহে রাজধানীর সুলতান’স ডাইন নামের একটি রেস্তোরাঁর বিরুদ্ধে কাচ্চি বিরিয়ানিতে খাসির মাংসের বদলে অন্য প্রাণীর মাংস দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।






মূলত বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার পর তা নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। এই পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর গত বৃহস্পতিবার রেস্তোরাঁটির গুলশান-২ শাখায় অভিযান চালায়।






সুলতান’স ডাইনে সেই অভিযানের নেতৃত্ব দেন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আবদুল জব্বার মণ্ডল। এ সময় সংস্থাটির আরও বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
তাঁরা সুলতান’স ডাইন কর্তৃপক্ষের কাছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওর সত্যতা ও তাদের বক্তব্য জানতে চান।






তারপর আজ অধিদপ্তরের শুনানিতে উপস্থিত হয়ে সুলতান’স ডাইনের পক্ষে মহাব্যবস্থাপক, সহকারী মহাব্যবস্থাপক ও গুলশান-২ শাখার ব্যবস্থাপক মৌখিক ও লিখিত বক্তব্য দেন।






এসব তথ্য উল্লেখ করে তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, সুলতান’স ডাইনকে কাপ্তানবাজারের মা-বাবার দোয়া গোশত বিতান নামের একটি প্রতিষ্ঠান খাসির মাংস সরবরাহ করে থাকে।






কাপ্তানবাজারে খাসি জবাইয়ের সময় সুলতান’স ডাইনের প্রতিনিধিরাও মাঝেমধ্যে উপস্থিত থাকেন। ৯ মার্চ রেস্তোরাঁটির ব্যবস্থাপক ১৫০ কেজি খাসির মাংস সংগ্রহের কথা মৌখিকভাবে জানান। যদিও মাংস সরবরাহকারী জানান, তাঁরা ১২৫ কেজি খাসির মাংস সরবরাহ করেছেন।