সংগীতশিল্পী তাসরিফকে নিয়ে মুখ খললেন হিরো আলম!

অসংখ্য নেটিজেন তাসরিফের সুস্থতা কামনা করেছেন। কিন্তু ঠিক এর বিপরীত মনোভাব পোষণ করলেন হিরো আলম…
গত ৫ মার্চ হঠাৎ করেই করে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে ফেসিয়াল প্যারালাইসিসে আক্রান্ত হওয়ার খবর জানান সংগীতশিল্পী তাসরিফ খান।

সেই পোস্টে মন্তব্যে অসংখ্য নেটিজেন তার সুস্থতা কামনা করেছেন, ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন। কিন্তু ঠিক এর বিপরীত মনোভাব পোষণ করলেন আলোচিত অনলাইন কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলম।

তাসরিফের প্রতি ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে তিনি বলেছেন, এই প্যারালাইসিস হলো অহং;কা;রের পত;ন।

শুক্রবার রাতে লাইভে এসে হিরো আলম বলেন, ‘আল্লাহ্‌ পাক চাইলে মানুষকে পতন করতে পারে, এক মিনিটে। আপনারা সবাই জানেন তারই একটা চাক্ষুস প্রমাণ তাসরিফ খান।

সে কিন্তু খুব ভালো গান গায়, সিঙ্গার। আল্লাহ্‌ পাক তার কণ্ঠ ভালো দিয়েছে। আজকে তার মুখের কিন্তু কী করেছে দেখেছেন? প্যারালাইসিসে মুখ বাঁকা হয়ে গেছে। এটা হলো অহংকারের পতন।’

তাসরিফের প্রতি তার এই মনোভাবের কারণ উল্লেখ করে হিরো আলম বলেন, ‘কিছুদিন আগে চাঁদপুরে একটা প্রোগ্রামের কথা ছিল আমার। সেখানে আমি ছিলাম, তাসরিফ ছিল, আরও অনেকে ছিল।

এই তাসরিফ যখন শুনেছে আমি ওই প্রোগ্রামে যাবো, সে বলেছে- হিরো আলম ওখানে গেলে আমি প্রোগ্রামে যাবো না। এই তাসরিফ কিন্তু একদিন এটা বলেছিল। আজকে তার অবস্থা দেখেছেন?’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘আবার সুন্দরী কিছু নায়িকা আছে দেখবেন, অনেক হিরোও আছে, তারা হিরো আলম থাকলে অভিনয় করবে না, অনেকেই কিন্তু বলেছে দেখবেন। অনেক নায়িকাই বলেছে তার বডি ফিটনেসের সঙ্গে যায় না, চেহারার সঙ্গে যায় না।

কিছু লোক বলেছে- হিরো আলম কিসের হিরো। আমি তাদেরকে ধিক্কার জানাই, আমি যদি কোনো ভালো কাজ করে থাকি আল্লাহ্‌র কাছে বলি তাদেরকে প্যারালাইসিস দিয়ে দেও আল্লাহ্‌।’

সংগীতশিল্পী হিসেবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচিত ছিলেন তাসরিফ খান। ২০১৭ সালের ৫ জানুয়ারি তিনি গড়ে তোলেন ব্যান্ড দল ‘কুঁড়েঘর’।

তার ব্যান্ড থেকে প্রকাশিত ‘তাই তো আইলাম সাগরে’, ‘রাজার রাজ্যে সবাই গোলাম’, ‘আমি মানে তুমি’সহ এমন অনেক গান ভক্ত-শ্রোতার হৃদয় ছুঁয়েছে।

তাসরিফ ব্যাপক পরিচিতি পান ২০২২ সালে সিলেটের বন্যাদুর্গত বিপর্যস্ত মানুষদের জন্য আর্থিক সহায়তা চেয়ে ফেসবুকে লাইভ করেন তাসরিফ। সেই লাইভ মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়।

ওই সময় কোটি টাকার বেশি ফান্ড সংগ্রহ করে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে আলোচনায় আসেন তিনি। সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে ‘বাইশের বন্যা’ নামের একটি বইও লিখেছেন। এবার বইমেলায় প্রকাশ পেয়েছে সেটি।