অবশেষে ইংল্যান্ডকে টি-টোয়েন্টিতে প্রথমবারের মতো হারিয়েছে টাইগাররা। আজ বৃহস্পতিবার ৯ মার্চ চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ৩ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে সাকিব বাহিনী।






আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ইংলিশ ১৫৭ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে দুই ওভার বাকি থাকতেই জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।
এদিকে বাংলাদেশের এই জয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। তরুণদেরকে নিয়ে দেখছেন নতুন স্বপ্ন। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে তরুণদের নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন এই ক্রিকেটার।






মাশরাফী লেখেন, ‘এই দলটা হারুক জিতুক সবারই উচিত তাদেরকে ব্যাক করা। তরুণদের নিয়ে এই টি-টোয়েন্টি দলটা কিছুদিন একসাথে খেলতে পারলে দারুণ কিছু হবে মনে হয়। অভিনন্দন বাংলাদেশ।’
রনি-লিটনের প্রশংসায় ম্যাচসেরা শান্ত
এবার তীব্র সমালোচনার পর জ্বলে উঠেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। একের পর এক ম্যাচে নিজেকে মেলে ধরছেন। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে জোড়া ফিফটি করেছিলেন।






এবার টি-টোয়েন্টি সিরিজের শুরুটাও হলো দুর্দান্ত। চট্টগ্রামে দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন শান্ত। ইংলিশ পেসার মার্ক উডের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৩০ বলে ৮ বাউন্ডারিতে ৫১ রানের ইনিংস খেলেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।
তৃতীয় উইকেটে অভিষিক্ত তৌহিদ হৃদয়ের সঙ্গে ৩৯ বলে ৬৫ রানের দুর্দান্ত এক জুটি গড়েন শান্ত। যে জুটিতে ভর করেই সহজে ১৫৭ রান তাড়া করতে পেরেছে বাংলাদেশ। অর্ধ-শতক করে শান্তও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ৫১ রানে থাকা অবস্থায় উডের বলে ক্লিন বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন টাইগার এই ব্যাটার। বাকি গল্পটা আফিফ হোসেনকে নিয়ে শেষ করেছেন সাকিব।






এই দুই ব্যাটারের ৪৬ রানের জুটিতে ভর করে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ দল। আফিফ থাকেন ১৩ রানে অরপরাজিত। ইংলিশদের হয়ে ১ টি করে উইকেট সংগ্রহ করেছেন জোফরা আর্চার, মঈন আলি, আদিল রশিদ এবং মার্ক উড। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়ের ম্যাচ সেরার পুরস্কার উঠেছে শান্তর হাতে। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি জয়ের কৃতিত্ব দিয়েছেন অন্যদেরও।
ম্যাচ শেষে শান্ত বলেন, ‘তৌহিদ খুবই ভালো ব্যাটিং করেছে। আমি বল দেখে খেলছিলাম এবং ক্রিকেটীয় শট খেলে যাচ্ছিলাম। দুই উইকেট হারানোর পরও চিন্তিত হইনি।






বোলাররা বিশেষ করে তাসকিন ও হাসান যেভাবে বোলিং করেছে এক কথায় দুর্দান্ত। রনি ও লিটন ইনিংসের শুরুটা করে দিয়ে গিয়েছিল, যা টি-টোয়েন্টিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’