ইউরোপের সেরা মঞ্চ থেকে মেসি-এমবাপেদের বিদায়!

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগে ঘরে মাঠে জার্মান ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখকে আটকাতে পারেনি ফরাসি ক্লাব পিএসজি। দ্বিতীয় লেগে জার্মান ক্লাবটির মাঠে গিয়েও আথিয়েতা নিয়েছিল ক্লাবটি। সেখানে হার দেখতে হল ফরাসি ক্লাবটি। তাতেই ইউরোপ সেরার মঞ্চ থেকে বিদায় ঘটল ফরাসি জয়ান্টের। ঐ বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলা পিএসজির দুই তারকা কিলিয়ান এমবাপে, লিওনেল মেসি ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে। দলের কোনো প্রয়োজনে ঝলক দেখাতে পারেননি।

বুধবার আলিয়াঞ্জ এরিনা রাতে শেষ ষোলোর ফিরতি পর্বে পিএসজিকে ২-০ গোলে হারিয়েছে শেষ আটের টিকিট কাটছে বায়ার্ন। পিএসজির মাঠে প্রথম লেগে ১-০ গোলে জিতেছিল তারা। দুই পর্ব মিলে তাদের গোল সংখ্যা দাড়ালো (৩-০)। কোয়ার্টার ফাইনালে জার্মান ক্লাবটির সঙ্গী ইতালিয়ান ক্লাব এসি মিলান। প্রথম লেগে ঘরের মাঠে ১-০ গোলে জেতা ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়নরা এবার গোলশূন্য ড্র করেছে টটেনহ্যাম হটস্পারের মাঠে। ১-০ গোলের অগ্রগামিতায় লম্বা সময় পর শেষ আটে খেলবে তারা।

গতকাল খেলার ২ মিনিটে গোলের জন্য প্রথম সুযোগ তৈরি করে পিএসজি। এমবাপের শট ঠেকিয়ে দেন বায়ার্ন গোলরক্ষক ইয়ান সমের। খেলার ১৯ মিনিটে আবার সুযোগ পান এমবাপে, এবার তিনি মারেন বাইরে। ছয় মিনিট পর ডি বক্সে বিপজ্জনক জায়গায় বল পেয়ে যান মেসি। তার তিনটি শট জটলার মধ্য থেকে ফিরিয়ে দেন বায়ার্নের কেউ না কেউ। শেষ পর্যন্ত গ্লাভসে নিতে পারেন সমের।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে গোলের দারুণ একটি সুযোগ হাতছাড়া করেন এরিক মাক্সিম চুপো-মোটিং। ৫২তম মিনিটে বল জালে পাঠান তিনি। কিন্তু অফসাইডের জন্য গোল মেলেনি।

পিএসজির রক্ষণে প্রবল চাপ তৈরি করা বায়ার্ন এগিয়ে যায় ৬১তম মিনিটে। নিজেদের অর্ধে মার্কো ভেরাত্তি বল হারালে পেয়ে যান লেয়ন গোরেটস্কা। সুযোগ থাকলেও নিজে শট না নিয়ে তিনি খুঁজে নেন অরক্ষিত চুপো-মোটিংকে। বাকিটা অনায়াসে সারেন পিএসজির সাবেক এই ফরোয়ার্ড। তিনি মিনিট পর সের্হিও রামোসের হেড ঝাঁপিয়ে ফেরান বায়ার্ন গোলরক্ষক।

প্রতি আক্রমণ থেকে বায়ার্নের সামনে আসতে থাকে একের পর এক সুযোগ। কিন্তু সেগুলো কাজে লাগাতে পারছিলেন না স্বাগতিক ফরোয়ার্ডরা। তাতে টিকে থাকছিল পিএসজির আশা। তবে ম্যাচে ফিরতে প্রয়োজন ছিল দুটি গোলের। এমবাপে-মেসিরা করতে পারেননি একটিও। যোগ করা সময়ে জালে বল পাঠান সাদিও মানে। তবে অফসাইডের জন্য মেলেনি গোল।