সুলতান’স ডাইনের কাচ্চির মাংস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কনক রহমান খান নামের একজন ভোক্তা। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি তুলে ধরেন। যা পরে ভাইরাল হয়।






তিনি তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লেখেন, গত বৃহস্পতিবার সুলতান’স ডাইনের সাতটি কাচ্চি আনা হয়েছিল।
খাওয়ার সময় মাংসের হাড় দেখে সন্দেহ হয়, এটা তো মাটন না অবশ্যই। মাটনের হাড় এমন চিকন হয় না। তখন সুলতান’স ডাইনের গুলশান-২-এর নম্বরে কল দিই।
জিজ্ঞেস করি এটা কী মাংস ছিল? ওনারা দুজনসহ আবার খাবার পাঠান। সাথে ওনাদের এজিএম আশরাফ আসেন। নতুন খাবারের সাথে আগের প্যাকেটের খাবারের হাড়ের সাথে এবারের মাংসের তুলনা করতে বলি। এজিএম আশরাফ মানতেই নারাজ, জেনেশুনে এমন মাংস দেন না।






তারা বলেন, তাদেরকে যে ভেন্ডর মাংস দেয়, তারা আসলে কোনো কিছু করতে পারে।
প্রশ্ন করা হলো, তাহলে ভেন্ডরের কাছ থেকে মাংস নেওয়ার সময় কি আপনাদের মতো এত বড় ব্র্যান্ডের কোনো কোয়ালিটি কন্ট্রোল অফিসার নেই? আপনি কি দুটো মাংস সেইম দেখতে পাচ্ছেন?






ওনারা উল্টা প্রশ্ন করেন, তাহলে আপনারা কী দিয়ে মেটাতে চান? ইন্ডিরেক্টলি টাকা অফার করেন এবং বলেন আপনারা ঝামেলা করলে আমরাও জানি কী করতে হয়।
এরপর ৯৯৯-এ কল দিই। ৯৯৯ বলে বিএসটিআইয়ের নম্বরে অভিযোগ করতে।
অভিযোগ সম্পর্কে জানতে সুলতাইন’স ডাইন-২-এর শাখায় যোগাযোগ করা হয়। তাদের পেজের নম্বরে কল দেওয়া হলে অপর প্রান্ত থেকে একজন নারী কল রিসিভ করেন। তিনি বলেন, ‘অভিযোগটি আমাদের নজরে এসেছে। এটি সম্পূর্ণ মিথ্য এবং ভিত্তিহীন।’ ব্যবসায়ী প্রতিপক্ষরা ‘রিউমার’ ছড়াচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি।






তার কাছে এজিএম আশরাফকে চাওয়া হলে তিনি একটি নম্বর দিয়ে যোগাযোগ করতে বলেন। এর পর থেকে ওই নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।