গোঙানোর শব্দে কবর খুঁড়ে দেখা গেল- মরদেহ কোলে বসে আছেন যুবক!

ননদ ও মেয়েকে নিয়ে শাশুড়ির কবর জিয়ারত করতে যাচ্ছিলেন আজহারুল ইসলামের স্ত্রী। কবরের কাছে যেতেই গোঙানোর শব্দ শুনে ভয়ে তারা বাড়ি চলে আসেন। বিষয়টি আজহারুলকে জানালে তিনি স্থানীয়দের জানান। এরপর পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ এসে স্থানীয়দের সহযোগিতায় কবরের মাটি সরিয়ে দেখতে পায়, ভেতরে স্থানীয় এক যুবক মরদেহ কোলে নিয়ে বসে আছেন। ঘটনাটি ঘটেছে রংপুর জেলার হারাগাছ উপজেলার সারাই ইউনিয়নের ধুমেরকুঠি চাদমিয়া পাড়া গ্রামে।

এ ঘটনায় কবরের ভেতরে বসে থাকা সফিকুল ইসলাম (২২) নামে ওই যুবককে ২৯৭ ধারার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রংপুর আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। সফিকুল ইসলাম উপজেলার হারাগাছ পৌর এলাকার ধুমেরকুঠি পশ্চিমপাড়া গ্রামের আবুজারের ছেলে। মৃতের ছেলে আজহারুল ইসলাম (৫৫) বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

ঘটনার বর্ণনায় আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘আজ শুক্রবার সকালে আমার স্ত্রী, বোন এবং মেয়ে আমার মায়ের কবর জিয়ারত করতে যান। গিয়ে মাটি সরানো এবং গোঙানোর শব্দ পেয়ে ভয়ে দূরে সরে গিয়ে আমার স্ত্রী আমাকে ফোন করে। আমি এসে কবরের কাছে গিয়ে বাঁশের চাটাই সরিয়ে দেখি, ভেতরে একজন বসে আছে। আমি ভয়ে কাঁপছিলাম। গ্রাম পুলিশ আলতাফকে ফোন দিই। তিনিও এসে দেখেন। তবে তখন ভেতরে বসে থাকা যুবককে তিনি চিনতে পারিনি। এরপর পুলিশকে ফোন দেন।’ আজহারুল আরও বলেন, ‘এই ছেলে আমার মায়ের কবরে কেন ঢুকেছিল, এটা বুঝতে পারছি না।’

সারাই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আটক ওই যুবক নেশাগ্রস্ত। তিনি মানসিকভাবেও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এর আগেও নেশার টাকা না পেয়ে এলাকায় বিশৃঙ্খলা করেছেন। কয়েকবার এ নিয়ে সালিসও হয়েছে।

রংপুর মেট্রোপলিটন হারাগাছ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম বলেন, ‘ওই যুবক মানসিক রোগী। তবে এ ঘটনায় ধর্মানুভূতিতে আঘাত এবং কবরস্থানে অনধিকার প্রবেশ করে মরদেহের অসম্মান করার অপরাধে মামলা হয়েছে। শুক্রবার তাকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।