সহপাঠীদের সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে সেতু থেকে নদীতে পড়ে ছাত্রীর মৃ’ত্যু!

সুনামগঞ্জ শহরের অদূরে সেতু থেকে সুরমা নদীতে পড়ে এক স্কুলছাত্রীর ম;র্মান্তিক মৃ;ত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে মডেল টেস্ট পরীক্ষা দিয়ে সহপাঠীদের সঙ্গে আব্দুজ জহুর সেতু এলাকায় ঘু;রতে গেলে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত স্কুলছাত্রী জেসমিন আক্তার তানজিম (১৬) শহরের ষোলঘর এলাকার রুহানুর রহমান রোহানের মেয়ে। সে সরকারি সতীশ চন্দ্র বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী। ওই বিদ্যালয় থেকে এ বছর সে এসএসসি পরীক্ষায় অং;শগ্রহণ করার কথা ছিল।

তবে কী কারণে এ ঘটনা ঘটেছে তা নিয়ে নানা কথা শো;না যাচ্ছে। এ নিয়ে এক ধরনের রহস্য দানা বেঁধেছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা ঘটনাটিকে আ;ত্মহ;ত্যা বলে দাবি ক;রলেও মেয়েটির স্বজনরা বলছেন অসাবধানতায় নদীতে পড়ে মেয়েটির মৃ;ত্যু হয়েছে। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে টিকটক ভিডিও ও সেলফি তুলতে গিয়ে তার মৃ;ত্যু হয়েছে বলে খবর রট;লেও এর কোনো স;ত্যতা পাওয়া যায়নি।

জানা যায়, জেসমিন আক্তার তানজিম শহরের সরকারি সতীশ চন্দ্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০২৩ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। বৃহস্পতিবার সকালে সাড়ে ১০টার দিকে বিদ্যালয়ে থেকে মডেল টেস্ট পরীক্ষা দিয়ে সহপাঠীদের সঙ্গে শহরের অদূরে আব্দুজ জ;হুর সেতু এলাকায় ঘু;রতে যায়।

এক সময় সে সেতুর স্টিলের রেলিংয়ে উঠতে গেলে সেখান থেকে নিচে সুরমা নদীতে পড়ে তলিয়ে যায়। নি;খোঁজ তানজিমকে উ;দ্ধারে ফা;য়ার সার্ভি;সের ডু;বুরি দল ও স্থানীয়রা দুই ঘ;ণ্টা অভিযান চালিয়ে একপর্যায়ে তার মৃ;তদেহ উ;দ্ধার ক;রতে স;ক্ষম হয়।

তানজিমের সহপাঠী ইমা আ;ক্তার বলেন, আমি আর তানজিম খুব ভালো বন্ধু। আমি আর সে পরীক্ষা দিয়ে আব্দুজ জ;হুর সে;তুতে বেড়াতে যাই। সেতু থেকে ফেরার পথে সে আমার থেকে কি;ছুটা পেছনে পড়ে যায়।

এ সময় সে সে;তুর রে;লিংয়ে উঠার চেষ্টা করে। আমি একটু এগোতেই আচ;মকা সে রেলিং থেকে নিচে সুরমা নদীতে পড়ে যায়। এ সময় আমি চোখে ঝা;পসা দেখছিলাম। এর বাইরে আর কিছুই ব;লতে পারি না।

প্রত্য;ক্ষদর্শী একাধিক ব্যক্তি জানান, মেয়েটি নদীতে ঝাঁ;প দিয়েছে। সে কোনো ভিডিও করেনি বা ছবি তোলারও চেষ্টা করেনি। এটি আ;ত্মহ;ত্যা হতে পারে বলে জানান তারা।

এদিকে খবর পেয়ে ঘ;টনাস্থ;লে যান মেয়েটির দ্বিতীয় পক্ষের পিতা মতি মিয়া। তিনি বলেন, সে আমার মেয়ে। তার মা;য়ের স;ন্তান;সহ আমার সঙ্গে দ্বি;তীয় বিয়ে হয়। সে আমার সঙ্গে শহ;রের তেঘ;রিয়ার বাসায় বসবাস করছিল।

সে এবার সরকারি সতীশ চন্দ্র বালিকা বিদ্যালয় থেকে এসএসসি প;রীক্ষার্থী ছিল।

তিনি বলেন, এমন একটি মেয়ে আ;ত্মহ;ত্যা করার কথা না। অসাব;ধান;তায় পড়ে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে ধা;রণা করছেন তিনি।

এদিকে প্রা;থমিক;ভাবে ঘটনাটিকে আ;ত্মহ;ত্যা হিসেবে দেখছে পু;লিশ। সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ম;য়নাতদ;ন্তের জন্য ;স্কু;ল;ছাত্রীর ম;র;দেহ সদর হাস;পাতালের ম;র্গে পাঠি;য়েছে সদর থানা পু;লিশ।

সদর থানার ওসি ইখ;তি;য়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সহপাঠী ও এলাকাবাসীর কথা থেকে প্রাথমি;কভা;বে এটিকে আ;ত্মহ;ত্যা বলেই মনে হচ্ছে। পারিবারিক অ;শা;ন্তির কা;রণে এটি হয়ে থাকতে পারে। তবে ত;দন্ত না করে এ ব্যা;পারে কিছু বলা যাচ্ছে না। বি;ষয়টা খতি;য়ে দে;খা হচ্ছে।