ফেসবুকে পরিচয় থেকে প্রেম। তারপর দীর্ঘ ৫ বছরের অপেক্ষা। অবশেষে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন ইন্দোনেশিয়ান তরুণী নিকি উল ফিয়া (২৩) ও পটুয়াখালীর বাউফলের যুবক মো. ইমরান হোসেন। দুজনের ভাষা ভিন্ন, আলাদা সংস্কৃতি। এত অমিল থাকা সত্ত্বেও ভালোবাসার টানে আবদ্ধ হলেন তারা। বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) বাউফলে ইমরানের নিজ বাসায় চলছে তাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা।






এর আগে, বুধবার (১ মার্চ) রাত সাড়ে ৭টার দিকে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার দাশপাড়া ইউনিয়নের খেজুরবাড়িয়া গ্রামে ইমরানের বাড়িতে এক ইউএস ডলার দেনমোহর ধার্য করে তাদের বিয়ে হয়। স্থানীয় এক মসজিদের ইমাম মাওলানা মো. শহিদুল্লাহ এ বিয়ে পড়ান। বিয়ে উকিল বাবা হিসেবে ছিলেন ইমরানের দাদা মো. সিদ্দিক হাওলাদার। ইতোমধ্যে এই বিয়ের ঘটনায় এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। আশপাশের লোকজন ভিনদেশী বউ দেখতে ওই বাড়িতে ভিড় করছেন। স্বামী ইমরান স্ত্রীর কথা ভাষান্তর করে সবাইকে বুঝিয়ে দিচ্ছেন। এ সময় ইন্দোনেশিয়ার এই তরুণী বাংলাদেশেই থাকতে চান বলে জানান।






ইমরান হোসেন বাউফল উপজেলার দাসপাড়া ইউনিয়নের খাজুর বাড়িয়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেন ও বিথী আকতারের বড় ছেলে। ঢাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন তিনি। নিকি ইন্দোনেশিয়ার সুরাবায়া প্রদেশের জেম্বার এলাকার বাসিন্দা। তারা বাবা ইউলিয়ানতো ও মায়ের নাম শ্রী আনি। নিকি উল ফিয়া জানান, বাংলাদেশে এসে তার খুবই ভালো লাগছে। এ দেশের খাবার ও এখানকার সংস্কৃতি তার খুব পছন্দ হয়েছে। তার বাংলাদেশে স্থায়ীভাবে বসবাসের ইচ্ছা আছে।






ইমরান বলেন, ২০১৬ সালে ফেসবুকে নিকির সঙ্গে পরিচয় হয়। সেখান থেকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০১৭ সালে নিকি বাংলাদেশে আসে। তবে আমার বিয়ের উপযুক্ত বয়স না হওয়ায় আমাদের বিয়ে হয়নি। যার কারণে নিকি তার দেশে ফিরে যায়। দেশে ফিরে যাওয়ার সময় নিকি কথা দিয়েছিল সে আমার জন্য অপেক্ষা করবে। নিকি তার কথা রেখেছে। ৫ বছর পর সে আবারও বাংলাদেশে এসেছে। আজ (বুধবার) আমরা দেশের প্রচলিত আইনানুযায়ী বিয়ে করেছি। ইমরানের বন্ধু মাছুম বিল্লাহ বলেন, গতকাল বিকেলে ইমরানের বাড়িতে আসছি। আজ বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা চলছে, চারদিক থেকে মানুষজন আসতেছে নতুন বউকে দেখার জন্য।






দাশপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এএনএম জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, গতকাল রাতে তারা ১০১ টাকা দেনমোহরে বিয়ের কাজ সম্পন্ন করেন। স্বাভাবিকভাবে দূর-দূরান্তের মানুষ নতুন বউ দেখতে আসবে যেহেতু সে ইন্দোনেশিয়া থেকে এসেছে। আমি তাদের দুজনের জন্য অনেক দোয়া করি।