শরীয়তপুরে এক গাভী জন্ম দিলো তিনটি ষাঁড় বাছুর!

শরীয়তপুর সদর উপজেলার তুলাসার ইউনিয়নের লতাবাগ এলাকায় একটি গাভী এক সাথে তিনটি ষাঁ/ড় বাছুর জ/ন্ম দিয়েছে। বর্তমানে গা/ভী ও তিনটি বাছুর সু/স্থ রয়েছে। এমন ঘটনা অস্বাভাবিক না হলেও বিরল বলে উল্লেখ করেছেন প্রা/ণি/সম্পদ কর্মকর্তা।

শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারী) সদর উপজেলা প্রাঙ্গণে দিনব্যাপী প্রাণীসম্পদ প্রদর্শনীতে গাভী ও তিনটি বাছুর নিয়ে আসেন খামারী রেজাউল সরদার। হোলস্টাইন ফ্রিজিয়ান জাতের গা/ভী ও বাছুর তিনটির বয়স দুই মাস, দেখতে সাদা কালো। বাছুর দেখে অনেকে অবাক হয়েছে। কেউ আবার ছবি তুলছেন।

খামারি রেজাউল সরদার জানান, ৩০ বছর যাবত গরু লালন-পালন করেন তিনি। তাঁর খামারে এই প্রথম তিনটি ষাঁ/ড় বাছুর জন্ম নিয়েছে। জন্ম নেয়ার পর বিভিন্ন এলাকার লোক দেখতে আসে,

আজ সকলকে দেখানোর জন্য সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীতে আনেন। বাছুরগুলো যেন সুস্থ থাকে তার জন্য সকলের দোয়া কামনা করেন তিনি।

প্রাণীসম্পদ প্রদর্শনী মেলায় গবাদিপশু যেমন- গরু, ছাগল, ভেড়া, ঘোড়ার পাশাপাশি পাখি, আধুনিক পদ্ধতিতে পশু-পাখির খাবার তৈরি প্রদর্শন, গাভির দুধ থেকে পনির-দই সহজে তৈরি করার যন্ত্র প্রদর্শন, পশু-পাখি ঔষধ ও ভ্যাকসিন প্রয়োগ পদ্ধতি প্রদর্শন করা হয়।

কয়েকজন দর্শনার্থী বলেন, মেলায় এসে দেখতে পেলাম একটি গাভীর তিনটি বাছুর। জীবনে প্রথম দেখলাম, দেখে আনন্দ লাগলো। তাই আমি ও আমার বন্ধুরা বাছুরগুলোর ছবি তুললাম।

জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সুবোধ কুমার দাস সম‌য়ের কন্ঠস্ব‌রকে বলেন, পানিসম্পদ অধিদপ্তরের আওতায় এই মেলার আয়োজন করা হয়। মেলার প্রধান লক্ষ্য হলো- যারা খামার আছে, সাধারণ মানুষ তাদের উদ্বুদ্ধ, উৎসাহ করা। মেলায় বিভিন্ন ক্যাটাগরি প্রদর্শন করা হয়েছে।

আমরা এটা গাভী থেকে একটি বাছুরই আসা করি। কিন্তু মেলায় দেখলাম একটি গাভীর তিনটি বাছুর। এমন ঘটনা অস্বাভাবিক না হলেও বিরল।