অনেকে প্রশ্ন করে, তুমি এ কাজ করো? তখন হাসিমুখে বলি হ্যাঁ, আমি এই কাজ করি’!

জয়দেবপুর-রাজশাহী রেললাইনের গাজীপুরের কালিয়াকৈরের কালামপুর রেলক্রসিংয়ে গেটকিপার ইভা আক্তার (৩০)। এইচএসসি পাস করে প্রায় চার বছর আগে রেলওয়ের নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে গেটকিপারের চাকরি নেন তিনি।

শুরুতে ঈশ্বরদীতে (টি-৩৭) গেটে দায়িত্ব পালন করতেন তিনি। ১০ দিন ধরে কালিয়াকৈরের চন্দ্রা ত্রিমোড় থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে কালামপুর (ই-১৬ গেট) রেলক্রসিংয়ে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।

ইভা আক্তার গাজীপুর সিটি কর’পোরে’শনের ছোট দেওড়ার মো. লিটন খানের স্ত্রী। তাদের সংসারে লাইভা খান নামের পাঁচ বছরের একটি মেয়ে রয়েছে।

মেয়ে বাড়ির পাশে ছোট দেওড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণিতে লেখাপড়া করে। তার স্বামী স্থানীয় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন।

তিনি বলেন, মেয়েরা বর্তমানে এগিয়ে যাচ্ছে। কোনো কাজই ছোট নয়। আমি নিজের কাজটি স্বাচ্ছন্দ নিয়েই করি। যখন রেলক্রসিংয়ের বারটি ওঠা-নামা করি এবং লাল-সবুজের পতাকা নিয়ে রেললাইনের পাশে দাঁড়ি’য়ে ট্রে’নের চালককে যাওয়ার সং’কেত দেই,

তখন আশপাশের মানুষ কৌতূ’হ’বশত আমার দিকে তাকিয়ে থাকে। অনেকে কাছে এসে প্রশ্ন করে, তুমি এ কাজ করো? তখন আমি হাসিমুখে বলি, হ্যাঁ, আমি এই কাজ করি। এটাই আমার কাজ।

তিনি আরও বলেন, নিজের কাজে উৎসাহ না থাকলে, সে কাজটি এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় না। মূলত নিজের কাজটি সঠিকভাবে করতে পারলে, তাতেই আনন্দ খুঁজে পাই।

জয়দেবপুর জংশ’নের স্টে’শন মাস্টার রেজাউল ইসলাম বলেন, রেলও’য়ের গেট’কি’পারে এখন অনেক নারী কর্মী দায়ি’ত্ব পালন করছেন। নারীরা এ কাজে বেশ দক্ষতার সঙ্গেই করছেন। কাজে কোনো অবহেলার অভিযোগ এখনও শুনিনি।