চার বছরে ভর্তি হয়ে ছয় বছর বয়সে হাফেজ শিশু নুরুদ্দিন!

দেশের সর্ববৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং বায়তুল মোকাররম মসজিদ জাতীয় মুসল্লি কমিটির উদ্যোগে ঢাকা দক্ষিণে চলছে ‘কুরআনের নূর পাওয়ার্ড বাই বসুন্ধরা’র অডিশন।

সেখানে এসেছে মাত্র ছয় বছর বয়সী হাফেজ নুরুদ্দিন। ঢাকার কেরানীগঞ্জের মাক্তা হিলফুল ফুজুল মাদরাসা থেকে হাফেজ হয়েছে সে।

হাফেজ নুরুদ্দিনের পিতা মাওলানা আশরাফুজ্জামান। তিনি একটি মসজিদে ইমামতি করেন। ময়মনসিংহের দুবাউড়া থানার জরিপাপাড়ায় তার গ্রামের বাড়ি। তিন ভাই-বোনের মধ্যে বড় সে। তার হাফেজ হতে সময় লেগেছে দুই বছর।

এই খুদে হাফেজের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মাত্র চার বছর বয়সে তাকে ভর্তি করা হয় মাদরাসায়। শুরু থেকে একই মাদরাসায় এখন পর্যন্ত অধ্যয়ন করছে এই হাফেজ। মাক্তা মাদরাসার শিক্ষক হাফেজ শরিফুল ইসলামের সহযোগিতায় হাফেজ হয়েছে সে।

হাফেজ শরিফুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, হাফেজ নুরুদ্দিন ৩০ পারা কোরআন শরীফ সম্পূর্ণ মুখস্থ করে বর্তমানে আমার কাছে প্রতিদিন এক থেকে দেড় পারা পাঠ করে শোনায়। তার কোরআন অধ্যয়ন অত্যন্ত স্পষ্ট ও সুমধুর। নুরুদ্দিন যথেষ্ট মেধাবী।

অন্য বাচ্চাদের চেয়ে খুব কম সময়ে তার কোরআন শরীফ মুখস্ত হয়েছে। মনে রাখার জন্য স্মরণশক্তিও যথেষ্ট ভালো। বসুন্ধরা গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় কোরআনের হাফেজদের প্রতিযোগিতার এত বড় আয়োজনে আমরা অংশ নিতে পেরে গর্বিত।

বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বসুন্ধরা গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় ও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম মুসল্লি কমিটির উদ্যোগে সারা দেশের ১১টি জোনে সব শেষ ঢাকা দক্ষিণের কুরআনের নূর প্রতিযোগিতার অডিশন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

বাছাই পর্বের এই অডিশনে বিচারক হিসেবে থাকবেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমামগণ ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে অংশ নেওয়া বরেণ্য মাওলানা ও হাফেজগণ।