সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় জেসমিন আক্তার পিংকি নামে এক পলিটেকনিকের ছাত্রীকে তার প্রাক্তন প্রেমিক ডেকে নিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন। এরপর সেপটিক ট্যাংকে ফেলে লাশ গুম করার চেষ্টা করা হয়।






শুক্রবার বিকেলে যশোরের শার্শার বুরুজবাগানের আহসান হাবিবের বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে পিংকির অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে র্যাব। নিহত জেসমিন আক্তার পিংকি সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার কাজিরহাট কাওরিয়া গ্রামের জাকির হোসেনের মেয়ে। পিংকি যশোর সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। তিনি পাঁচদিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন। তার সাবেক প্রেমিক আহসান কবির অংকুর যশোরের শার্শার বুরুজবাগান আকবর আলীর ছেলে। তারা দুইজনই একই প্রতিষ্ঠানে সহপাঠী ছিলেন। হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকায় আহসান কবির অংকুরকে আটক করা হয়েছে।






র্যাব-৬ এর যশোর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার এম নাজিউর রহমান জানান, নিহত জেসমিন ও আটক অংকুর দুইজনই যশোর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় জেসমিনকে অংকুর কৌশলে বাড়িতে ডেকে নেন। এরপর তার উপর নির্যাতন চালানো হয়। পরে গলা কেটে হত্যার পর লাশ গুম করার চেষ্টা করা হয়। এজন্য লাশ তাদের বাড়ির পশ্চিম পাশে সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেন অংকুর।






তিনি আরো জানান, জেসমিন নিখোঁজ হওয়ার পর তার পিতা গত ৫ ফেব্রুয়ারি যশোর কোতোয়ালি থানায় নিখোঁজ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন। জিডির কপি র্যাবকেও দেওয়া হয়। পুলিশ ও র্যাব যৌথভাবে তদন্ত করছিল। শুক্রবার বিকেলে লাশ উদ্ধার করাসহ জড়িত অংকুরকে র্যাব আটক করেছে। আর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।