ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় জুটি শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস। পর্দার এই জুটি বাস্তবেও ঘরে বেঁধেছিলেন। বিয়ে করে সংসার গড়েছিলেন। তাদের সেই সংসারে ছিল একটি ছেলে সন্তানও। যদিও ১০ বছরের সংসারের পর বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন তারা। তবে সম্প্রতি এই দুই জুটির সম্পর্ক আবারও জোড়া লাগতে শুরু করেছে। শাকিব খানের বাসায় অপুর যাতায়াত বেড়েছে। দুজনেরই দুজনের প্রতি সম্মান বেড়েছে। ভক্তদের মনেও প্রশ্ন জেগেছে, তাহলে কি আবারও জোড়া লাগছে শাকিব-অপুর সংসার?






গত কয়েকদিন ধরে গণমাধ্যমে দেওয়া অপু বিশ্বাসের বিভিন্ন মন্তব্যর জেরে সেই গুঞ্জন আরও জোড়ালো হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অপুর কাছে জানতে চাওয়া হয়, বিচ্ছেদ ভুলে আবার এক ছাদের নিচে থাকবেন কিনা? সেই প্রশ্নের রহস্য ঘেরা উত্তর অপুর, ‘সেটা এখন বলব না, সময় বলে দেবে। আগে কী করছে না করছে, সেটা আমি জানি না, শাকিবের এখন অনেক পরিবর্তন লক্ষ করেছি। সন্তান, পরিবার-পরিজনের প্রতি দারুণ আবেগ কাজ করে তার। শাকিব একজন ভালো মনের মানুষ।’






শাকিব প্রসঙ্গে এখন অপুর বলেছেন, ‘আমরা দুজন মিলেই জয়কে স্কুল থেকে আনা-নেওয়া করি। কখনো আমি রেখে আসি, শাকিব নিয়ে আসে। শাকিব রেখে আসে, আমি নিয়ে আসি। তা ছাড়া শাকিব আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার বা মিডিয়াতে কাজের ব্যাপারেও মাঝেমধ্যে পরামর্শ দেয়।’
শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমকে আরও এক তথ্য জানিয়েছেন অপু। তাঁর ভাষ্যে গল্পটা এমন, ‘কয়েক দিন আগে আমি শাশুড়ির কাছে ফোন করে ইলিশ মাছ খেতে চেয়েছিলাম। মা বললেন, “ঠিক আছে আমি রান্না করছি। একটু পর ফোন করে জানাও সঙ্গে কী দিয়ে রান্না করব।” এর পর আমি ফোন রেখে ভুলে গেছি। হঠাৎই শাশুড়ির ফোন। ধমকের স্বরে বললেন, “এই মেয়ে, তুমি কী দিয়ে ইলিশ খাবে, জানাতে বললাম, দেরি করছ কেন?” এই হলে আমার শাশুড়ি। সত্য কথা বলি, আমার জীবনে ভুলভ্রান্তি হতে পারে, কিন্তু আমি একটা পর্যায়ে এসে বুঝেছি, তাঁরা কতটা ভালো মনের মানুষ। এখন কতটা আমাকে ভালোবাসেন তাঁরা।’






উল্লেখ্য, শাকিব খান ২০০৮ সালের ১৮ এপ্রিল গুলশানের বাড়িতে কঠোর গোপনীয়তায় অপু বিশ্বাসকে বিয়ে করেন। প্রায় ১০ বছর পর এক সন্তানের খবরের সঙ্গে নিজেদের বিয়ের খবর গণমাধ্যমে নিয়ে আসেন অপু। এসব কারণে ২০১৭ সালের ২২ নভেম্বর শাকিব বিচ্ছেদের জন্য আবেদন করেন। ২০১৮ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি এই দম্পতির বিচ্ছেদ হয়। শাকিব-অপুর ১০ বছরের সংসারে একটি ছেলেসন্তানের জন্ম হয়। বিচ্ছেদের পর থেকে জয় মায়ের সঙ্গে থাকে। পড়াশোনা করে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে।