হবিগঞ্জের শিক্ষকের কাছ থেকে উপহার পাওয়া গাড়িটি নিয়ে গ্যাঁড়াকলে পড়েছেন আলোচিত সোশ্যাল তারকা হিরো আলম। গাড়িটি নিতে যাওয়ার সময়পথেই বড় অংকের জরিমানা গুনতে হয়েছে তাকে। সেই সঙ্গে প্রায় ১০ বছর আগেই ফিটনেস সনদের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে ওই গাড়িটির।






তবে গাড়িটির এই সমস্যাগুলো তাকে আগে জানানো হয়নি বলে জানান এই সোশ্যাল তারকা। হিরো আলম বলেন, গাড়িটি তার কাছে হস্তান্তর করার আগে গাড়ির ফিটনেস না থাকা ও ট্যাক্স বকেয়া থাকার বিষয়টি জানানো হয়নি তাকে।
আর গাড়ি হস্তান্তরের সময় মানুষের ভিড়ে কাগজপত্র দেখার সুযোগ হয়নি তার। গাড়িটি নেওয়ার পর কাগজপত্র যাচাই করতে গিয়েই বিষয়টি বুঝতে পারেন হিরো আলম।






তবে হিরো আলমকে গাড়ি উপহার দেওয়া শিক্ষক এম মুখলিছুর রহমান জানান,২০১৮ সালে তিনি ৫ লাখ টাকা দিয়ে গাড়িটি কিনেছেন। এরপর থেকে তিনি গাড়িটি ব্যবহার করে আসছেন।
তিনি বলেন, গাড়িটির ফিটনেস সনদের মেয়াদ ২০১৩ সালের ১৫ জুলাই শেষ হয়েছে। আমি মেয়াদোত্তীর্ণ ফিটনেসে গাড়িটি ক্রয় করেছিলাম। এই গাড়ি নিয়ে চলাচলে আমার কখনও কোনো সমস্যা হয়নি।






তবে এই সমস্যার পরেও উপহারের গাড়িটি ফেরত দেবেন না বলে জানিয়েছেন এই ইউটিউবার। সর্বশেষ ২০১৩ সালে গাড়ির ট্যাক্স দেওয়া হয়েছিল গাড়িটির।
র্তমানে গাড়িটির প্রায় পাঁচ লাখ টাকা ট্যাক্স পাওনা রয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ)। হিরো আলম আরও বলেন,
গাড়িটির কাগজপত্র নিয়ে যত ঝামেলাই হোক, উপহারের গাড়ি ফেরত দিলে ওই শিক্ষককে অপমান ও ছোট করা হবে। তাই আমি গাড়িটি ফেরত দিব না।






আর এটি অ্যাম্বুলেন্স বানিয়ে গরিব মানুষের সেবায় ব্যবহার করব, তাই গাড়িটি বৈধভাবে রাস্তায় চলাচল উপযোগী করতে যত টাকা লাগে, সেটা খরচ করতে রাজি আছি আমি।
আলোচিত এই ইউটিউবার আরও জানান, যেহেতু গাড়িটি অ্যাম্বুলেন্স হিসেবে ব্যবহার করা হবে, তাই বকেয়া মওকুফ চেয়ে বিআরটিএতে আবেদন করব আমি। সেই সঙ্গে আগামী দু-এক দিনের মধ্যে গাড়িটিকে বগুড়ায় ওয়ার্কশপে নিয়ে অ্যাম্বুলেন্স বানানোর কাজ শুরু করব।