যেসব বিচে নারীদের বিকিনি পরার অনুমতি আছে!

পর্যটকদের কাছে মালয়েশিয়া একটি জনপ্রিয় গন্তব্য। এই দেশে যেমন ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি আছে, দর্শনীয় স্থানও রয়েছে অনেকগুলো। কোনো কোনো পর্যটক পছন্দ করেন বিচে ঘুরে বেড়াতে। তারাও হতাশ হবেন না। এই দেশেই রয়েছে এমন কিছু বিচ যেখানে নারীদের বিকিনি পরে প্রবেশেও বাঁধা নেই।

বিকিনি বিচ, মাফুশি: আপনি যদি রিল্যাক্স মুডে কোথাও যেতে চান, তাহলে মাফুশির বিকিনি বিচে চলে আসুন। এটি একটি পাবলিক বিচ। এখানে পর্যটকদের বিকিনি পরার অনুমতি দেওয়া হয়। তবে মনে রাখবেন, স্থানীয় লোকজনকে এখানে আসতে দেওয়া হয় না। অবসরে যাবনের জন্য এটি একটি দুর্দান্ত জায়গা। এখানে আপনি সমুদ্রের ধারে বিশ্রাম নিতে পারেন। এখানে আপনি সৈকত ভলিবল উপভোগ করতে পারেন। আবার নতুন নতুন বন্ধুও তৈরি করতে পারেন।

বিকিনি বিচ, রসধু: রসধু মালদ্বীপের বৃহত্তম এবং জনপ্রিয় সৈকত। এখানে সাদা ঝুরঝুরে বালির উপর দিয়ে পর্যটকদের হাঁটতে দেখবেন। এখানেও নারীদের বিকিনি পরার উপর কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। আরও ভালো ব্যাপার হল, এই সৈকতটি শিশুদের জন্যও বেশ নিরাপদ। আপনি যদি একজন শিক্ষানবিস সাঁতারু হন তাহলে আপনি এখানে মনের সুখে ও নিরাপদে সাঁতার কাটাতে পারবেন।

বিকিনি বিচ, গাফারু লোকাল দ্বীপ: গাফারুর বিকিনি সৈকতে গিয়ে নতুন অভিজ্ঞতা হতে পারে। এখানকার বিকিনি সৈকতে বিনামূল্যে সূর্য লাউঞ্জার উপভোগ করতে পারেন। যেহেতু এই সৈকতে খুব বেশি ভিড় হয় না, তাই এখানে ফোটো ক্লিক করার সুযোগ হাতছাড়া করা উচিত নয়। আপনি যদি একজন অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমী নারী হন তবে আপনাকে অবশ্যই এই জায়গাটি দেখা উচিত।

পিকনিক আইল্যান্ড সৈকত: পিকনিক আইল্যান্ড সৈকতটি প্রাইভেট রিসর্ট সৈকতে অবস্থিত। বাইরে থেকে আসা পর্যটকদের জন্য এখানে প্রবেশ একেবারে বিনামূল্যে। এর অর্থ, সৈকতের মজা উপভোগ করার জন্য আপনাকে রিসর্টে থাকার দরকার নেই। আপনি যদি এখানে যাওয়ার পরিকল্পনা করে থাকেন, তা জেনে রাখুন যে শুধুমাত্র রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এটি বাইরের পর্যটকদের জন্য খোলা থাকে। মালদ্বীপের এই বিখ্যাত সমুদ্র সৈকতে প্যারাসেলিং, স্নরকেলিং, স্পিড বোটিং, ডাইভিং, ওয়াটার স্কুটার এবং ক্যানোয়িং উপভোগ করতে পারবেন।

ধিগুরা সমুদ্র সৈকত, ধিগুড়া: ধিগুরা সমুদ্র সৈকত মালদ্বীপের সবচেয়ে রোমান্টিক সৈকত। এছাড়াও এটি ডাইভিং স্পটের জন্যও জনপ্রিয়। এখানে তিমি হাঙরের সঙ্গেও দেখা করতে পারবেন। এই সৈকতটি প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং এটি খুব বেশি ভিড় হয় না। এই সৈকতের বিশেষত্ব হচ্ছে এখানকার পানি। এই পানি এতটাই পরিষ্কার ও স্বচ্ছ যে পানি নিচে মাছ এবং কচ্ছপদের সাঁতার কাটার দৃশ্য স্পষ্টভাবে দেখা যায়।

মালদ্বীপের বিকিনি বিচে যাওয়ার সময় এই বিষয়গুলো মাথায় রাখুন

>> যেহেতু মালদ্বীপ একটি ইসলামপ্রধান দেশ, তাই এখানকার পাবলিক সৈকতে বিকিনি পরার অনুমতি দেওয়া হয় না।

>> কিছু রিসোর্ট দ্বীপে অশালীন পোশাকের অনুমতি নেই। অতএব, বুকিং করার আগে, এখানকার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিতে হবে।

>> যদি এমন কোনো সমুদ্র সৈকতে যাচ্ছেন যেখানে সাঁতারের পোশাকের অনুমতি নেই, তাহলে সবসময় নিজের সঙ্গে একটি সারং এবং একটি টি-শার্ট রাখুন।

>> পাবলিক প্লেসে যাওয়ার সময় শুধুমাত্র কাঁধ এবং হাঁটু ঢেকে রাখার পোশাক পরতে হয়।

সূত্র: এই সময়